ফিলিপাইনে শুনানিতে কিম অং: টাকা আনে দুই বিদেশী

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ দুইজন বিদেশীর হাত ধরে ফিলিপাইনের আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করে বলে সিনেট কমিটির শুনানিতে দাবী করেছেন অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন ব্যবসায়ী কিম অং।
শুনানিতে মি. অং নাম দুটি বলেননি, তবে, তিনি একটি সীল করা খামে করে ঐ দুজনের নাম এবং পাসপোর্টের ফটোকপি সিনেট কমিটিকে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
ফিলিপাইনের ডেইলি ইনকোয়ারার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ তথ্য জানা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোপাট হওয়া অর্থ ফিলিপাইনের আর্থিক ব্যবস্থায় ঢুকে সেখানকার ক্যাসিনোতে চলে গেছে, এ তথ্য প্রথম এই দৈনিকটিই দিয়েছিল।
Read More News

এক প্রশ্নের জবাবে মি. অং বলেন, দুইজন বিদেশীর একজন প্রায়ই দেশটিতে যাতায়াত করেন, এবং তিনি একজন জাঙ্কেট এজেন্ট হিসেবে পরিচিত।
তবে, চুরি হওয়া অর্থ গ্রহন ও উত্তোলন করার জন্য ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করার কাজটি রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন বা আরসিবিসি’র শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোই করেছিল বলে অভিযোগ করেন মি. অং।
তিনি কেবল একজন বিদেশী নাগরিককে ব্যাংক হিসাব খোলায় সহায়তার জন্য মিস দেগুইতোকে অনুরোধ করেছিলেন।
এছাড়া চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার সোলারি এবং মাইডাস ক্যাসিনোতে যায় বলে জানান মি. অং।
বাকী ১৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ রেমিটেন্স প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান ফিলরেম এ রয়ে যায়।
সকালে তৃতীয় দিনের মত সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির শুনানি শুরু হলে এতে হাজির হন ব্যবসায়ী কাম সিন অং, যিনি কিম অং নামেও পরিচিত।
সিনেটর র‍্যালফ জি রেকটো এই শুনানি পরিচালনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *