গাজীপুরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি হরিণাচালা এলাকায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী হরিণাচালা এলাকার মো. আমজাদ পাঠানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে আজ শনিবার জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন মো. আমজাদ পাঠান (৫০), মো. শাহীন (৪০), মো. ফজলু (৪৫) ও মো. জাহিদ (৬০)। তারা সকলেই কোনাবাড়ি হরিণাচালা এলাকার বাসিন্দা।
Read More News

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ রাত ১১টার দিকে মো. আমজাদ পাঠান, মো. শাহীন, মো. ফজলু ও মো. জাহিদ ভাড়াটিয়া নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার স্বামী বাসায় ছিলেন না। পরে বাড়িওয়ালা তার বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে ও কাগজপত্র দেখতে চায়। কাগজপত্র সঙ্গে নেই বলে জানালে ওই নারীকে মারধর করা হয়। পরে শাহীন ওই নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীকে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে আমজাদ পাঠানের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে তার স্বামী বাসায় ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে তার ভাইসহ আমজাদ পাঠানের বাড়িতে গেলে তাদেরও বেঁধে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে নারীটিকে জোর করে পার্শ্ববর্তী শাহীনের বাসায় নেওয়া হয়। এরপর সেখানে প্রথমে শাহীন তাকে ধর্ষণ করে। পরে পালাক্রমে আমজাদ পাঠান ও ফজলু তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মো. জাহিদ বাইরে দাঁড়িয়ে ধর্ষণের কাজে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার এসআই মো. শামীম জানান, ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *