ভারতের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমুদ্রগর্ভ থেকে ভারত যে নিউক্লিয়ার মিসাইল ছুড়েছে, তাতে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়বে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছেন।
ভারত আবার কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করেছে বলে চলতি সপ্তাহেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে এই পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়।
Read More News
সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ফেলায় ভারত রাষ্ট্রপুঞ্চ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের তালিকার বাইরে একমাত্র দেশ হয়ে উঠেছে, যে দেশ ভূমি, আকাশ এবং পানিভাগ— এই তিন জায়গা থেকেই পরমাণু আক্রমণ চালাতে পারে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, সমুদ্রের গভীর থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা থাকলে তবেই একটি দেশকে প্রকৃত পরমাণু শক্তিধর বলা যায়। কারণ কোনো দেশের মূল ভূখণ্ড প্রতিপক্ষের পরমাণু হামলার শিকার হয়ে গেলে, পাল্টা হামলা পানিভাগ থেকেই চালাতে হয়। মূল ভূখণ্ডের সব পরমাণু পরিকাঠামো নষ্ট করে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিপক্ষ পরমাণু হামলা চালানোর ছক কষে। কিন্তু সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপনের পর ভারত প্রকৃতপক্ষেই পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠল। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে এক পঙ্ক্তিতে চলে এল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘যে সব অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, আমরা সেই সব অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে সব সময়ই উদ্বেগের চোখে দেখি। তাই যে সব দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা বলছি, নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার ক্ষেত্রে সংযম দেখাতে।’’
বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লির মধ্যে কথা হয়েছে বলেও মার্ক টোনার জানিয়েছেন।