মন্ত্রী পরিষদে স্থান হচ্ছে অং সান সুচির

মিয়ানমারের ঐতিহাসিক নির্বাচনে জয় পাবার পর ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির এনএলডির প্রধান অং সান সুচিকে নতুন সরকারের মন্ত্রীসভার তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
দুই সন্তান বিদেশি নাগরিক হওয়ায় মিয়ানমারের সংবিধানের ধারা অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি মিস সুচি। তিনি মন্ত্রীসভার পদ গ্রহণ করবেননা এমন ধারণাই করা হচ্ছিল।
কিন্তু মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট এনএলডি দলের থিন কিয়াও সংসদে মন্ত্রী হিসেবে যে ১৮ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন, তার মধ্যে মিস সুচির নামও রয়েছে।
বিবিসির ইয়াঙ্গুন প্রতিনিধি জোনাহ ফিশার জানিয়েছেন, অং সান সুচির অধীনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মন্ত্রণালয় থাকবে।
প্রস্তাবিত নতুন মন্ত্রীসভায় আর কোনও নারী সদস্য নেই বলে জানিয়েছেন বিবিসি সংবাদদাতা।
তবে থিন কিয়াও প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অং সান সুচি বেশ কয়েকবার বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট ‘তাঁর অধীনে’ থাকবে এবং সরকারি কোনো পদে না থেকেও তিনিই সরকার পরিচালনা করবেন।
মন্ত্রীসভার ১৮ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন মিস সুচির পছন্দে মনোনীত হয়েছেন। বাকি তিনজন সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধানের পছন্দে মনোনীত হয়েছেন।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী অং সান সুচি মন্ত্রীর পদ গ্রহণ করলে তাঁকে পার্লামেন্টের সদস্য পদ ছাড়তে হবে এবং এনএলডির সব তৎপরতা থেকে দূরে থাকতে হবে।
Read More News

চলতি সপ্তাহের পরবর্তী কোনও এক সময়ে প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার বিষয়ে সংসদে ভোটাভুটি হবে।
মিয়ানমারের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে সামরিক বাহিনীর জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকলেও এনএলডি বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
এতে দলটির মনোনীত প্রার্থীরা সহজেই সংসদের সমর্থন পেয়ে মন্ত্রীসভার সদস্য হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *