ভালবাসার মানুষের মন জয় করার টিপ্‌স

প্রেমের সম্পর্ক একদিক হতে অনেক শক্ত এবং মজবুত হয়ে থাকে, তা হলো ভালোবাসার দিক থেকে। আবার অপরদিক থেকে খুব বেশি ঠুনকো ও ভঙ্গুর হয়, যা হলো ভুল বোঝাবুঝি এবং মনোমালিন্যকে বাড়তে দেয়া। শুধু তাই নয় অযথা এবং অতিরিক্ত অনেক কিছুই প্রেমের সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে দুপক্ষকেই। দেখুন কিছু টিপ্‌স-

১) ফোন আপনি করবেন না। তাকে করতে দিন।

২) উইকএন্ড হলেই গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন না। নিজের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গেও প্ল্যান করুন এবং প্রেমিকাকে বুঝিয়ে দিন সব সময় তাকে চোখে হারান না আপনি।
Read More News

৩) নিজের সঙ্গীর প্রতি আস্থা রাখুন। তিনি যদি অন্য কারো সাথে খোলামেলা ভাবে মেশেন তবে তা নিয়ে অযথা সন্দেহ করে নিজের সম্পর্ক খারাপ করবেন না। এটি কেউ মোটেও পছন্দ করে না।

৪) সম্পর্কের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। নিজের সঙ্গীকে বিশ্বাস করতে শিখুন। এবং নিজেকেও তার কাছে বিশ্বাসের পাত্র/পাত্রী করে তুলুন। একে অপরকে জানার চেষ্টা করুন। বিশ্বাসের মাধ্যমে কাছাকাছি হয়ে যায় অনেকেই।

৫) সম্পর্কে নানা সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু তাই বলে কথা নেই, বার্তা নেই হুট করে সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নেবেন না কেউই। সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব এই বিশ্বাসে থাকুন ও কাজ করুন। ঝোঁকের মাথায় সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নেবেন না বা বারবার এ ধরনের হুমকি দেবেন না।

৬) যদি কোনো কাজে বা কথায় মনে হয় সঙ্গী এখনো ম্যচিউরড নন তাহলে দয়া করে ‘তুমি এখনো বাচ্চা’, ‘তুমি ম্যাচিউরড না’, ‘তুমি কিছুই বোঝো না’ এসব বলে খোঁচা দেবেন না। এতে তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারেন। এবং মনঃক্ষুণ্ণ হলে সম্পর্ক ভেঙেও যেতে পারে।

৭) মেয়েরা খুব সহজে ভালোবাসার কথা বলতে চায় না, অপরপক্ষে ছেলেরা শুনতে চায়। তাই দুজনেই দুজনের ব্যাপারগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন। মেয়েরা একটু সহজে মনে কথা প্রকাশ করার চেষ্টা করুন এবং ছেলেরাও নিজের চাহিদা একটু কমিয়ে আনুন।

৮) যদি সম্পর্কে কোনো সমস্যা শুরু হয় তবে তা সমাধান করতে তৃতীয়পক্ষ বা কোনো দুপক্ষের কমন বন্ধুর কাছে কথা না বলাই ভালো। কারণ দুজনের মাঝে তৃতীয় কেউ এলে সমস্যা সমাধানের চাইতে ঝামেলাই বেশি হয়। সমাধান নিজেরা করার চেষ্টা করুন।

৯) কিছু কিছু ব্যাপারে একে অপরকে ছাড় দেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলুন। ভুল হলেই তা নিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলবেন এমন ভুল করবেন না। ছাড় দিন কিছুটা। সেই সাথে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলুন।

১০) একই বিষয় নিয়ে বারবার কথা বলতে থাকার ব্যাপারটি অনেকেই পছন্দ করেন না। দুজনেই এই ব্যাপারটি মানার চেষ্টা করুন। একই কথা বারবার না বলে ২/১ বার বলেই চুপ হয়ে যান।

১১) মান-অভিমানের সময় যদি একজনই বারবার মিটমাটের জন্য এগিয়ে আসে তাহলে সম্পর্কে বেশীদিন টিকবে না। তাই অভিমান ভাঙাতে দুপক্ষকেই সচেষ্ট হতে হবে।

১২) যদি মনে করে আপনার সঙ্গী আপনাকে সঠিকভাবে সময় দিচ্ছেন না এবং নজর করছেন না তবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ বা মনোযোগ পাওয়ার জন্য অন্য কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিনয় করবেন না। এতে উল্টোটা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

১৩) রাগটাকে কমিয়ে ফেলার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন দুজনেই। কারণ অতিরিক্ত রাগ থেকেই সম্পর্কে জটিলতার সৃষ্টি হয়। রাগের কারণে তুচ্ছ বিষয় বড় আকার ধারণ করে ফেলে।

১৩) চাকুরিজীবি জুটি হলে একে অপররের সময়ের মূল্য দিন। সময় দিতে পারেন না বলে অভিমান করে সম্পর্কে জটিলতা বাধাবেন না। এবং সময় করার চেষ্টা করে দুজনেই একসাথে সপ্তাহে ১ টি দিন হলেও একসাথে কাটান।

১৪) সম্পর্কে কোনো ব্যাপার নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হলে দুজনেই দুজনের যুক্তি শুনুন। এবং নিজের যুক্তিই শ্রেষ্ঠ সঙ্গীর যুক্তি খোঁড়া এই ধরণের মানসিকতা বর্জন করুন। দুজনেই দুজনের যুক্তি বোঝার চেষ্টা করুন।

১৫) সম্পর্কে ঝগড়া হতেই পারে। তাই বলে ঝগড়া শেষে কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবেন না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুঝিয়ে বলুন একে অপরকে। ভেতরে ক্ষোভ ও রাগ পুষে রাখবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *