নোয়াখালীতে গতকাল সোমবার ছাত্রলীগ-সমর্থক দুই পক্ষের বিরোধে গুলিবিদ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। তাঁর নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে ওয়াসিম (২৫)। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
গতকাল দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে ওয়াসিমকে মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতালে আসা স্বজনদের তথ্যমতে, ওয়াসিমের বাবার নাম নুরুল আমিন। বাড়ি নোয়াখালী শহরে।
ওয়াসিমের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
Read More News
গতকালের ওই ঘটনায় ফজলে রাব্বি ওরফে রাজিব (২২) নামের একজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মো. ইয়াছিন (২৩) নামের একজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ওয়াসিম তাঁর সংগঠনের কর্মী ইয়াছিন এবং তাঁদের বন্ধু রাব্বিকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে নোয়াখালী কলেজ-সংলগ্ন (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্যাম্পাস) বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুরে যান। সংগঠনের জুনিয়র কর্মীদের একটি বিরোধের বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগ-সমর্থক একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছিলেন। এ সময় সেখানে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই তিনজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমন ভট্ট প্রথম আলোকে বলেন, কলেজের ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে একটি বিরোধের মীমাংসা করতে ছাত্রলীগের নেতা ওয়াসিম ও কর্মী ইয়াছিন তাঁদের বন্ধু রাব্বিকে নিয়ে কলেজপাড়ায় গেলে এক পক্ষ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক ও সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন BD NEWS . NEWS কে বলেন, ছাত্রলীগ-সমর্থক দুটি পক্ষের পূর্ববিরোধের জের ধরে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁরা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে।