শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো দেশের ৩৪টি জেলার ৭৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এটি স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তরের সবচেয়ে বড় নির্বাচন হওয়ায় দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মাঝে এক ধরনের উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আনন্দ উৎসবে পরিনত হয়েছে। নির্বাচনের কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায় মাঠে টহলে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন , পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক লাখ ৮০ হাজার সদস্য। একই সঙ্গে ৩৪ জেলার ১০১টি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি বিচারিক হাকিমরাও অপরাধ তদারকিতে মাঠে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৩৪ জনসহ মোট ৩৬ হাজার ৪৫৬ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে প্রায় সাত হাজার ৮৭টি কেন্দ্রে এক লাখ ২১ হাজার ১৯৫ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
Read More News
বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদের ভোট গণনাও শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন অনিয়ম ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়।বিচ্ছিন্নভাবে এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হলেও পুরো ইউনিয়নে ভোট স্থগিতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ মনে করছেন প্রথম পর্বের নির্বাচনে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
দলীয় প্রতীকে প্রথম এই ইউপি ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে প্রথম পর্বের সাড়ে ৭ হাজার কেন্দ্রে সহিংসতা-সংঘর্ষ তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। উৎসব আমেজে ভোট হয়েছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করলেও বিএনপি অভিযোগ করেছে ভোট জালিয়াতি হয়েছে ব্যাপকভাবে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে অভিযোগ নিয়ে দেখা করতে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সুজাউদ্দিন, মনিরুল হক চৌধুরী ও কলিম উদ্দিন মিলন।