হৃতিক-কঙ্গনার পুরনো প্রেম ভেঙে এতটাই তিক্ততায় ভরে উঠেছে যে দুজনই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন দুজনকে। এরপর হৃতিককে হুমকিও দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। এ নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে কম কাদা ছোড়াছুড়ি হয়নি মিডিয়ায়।
পরস্পরের বিরুদ্ধে টুইট যুদ্ধের পর এবার আনুষ্টানিক বিবৃতি দিয়ে নিজের মত জানিয়েছেন হৃতিক। কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর অবশ্য হৃতিক রোশনের এ বিষয়ে আর চুপ করে থাকার কোনো উপায়ও ছিল না।
তবে পুরো ঘটনায় যেবাবে তার দিকে অভিযোগের তীর ছোড়া হচ্ছে তাতে মোটেও খুশি নন তিনি; হৃত্বিক যে ক্ষুব্ধ সেটি তার বিবৃতিতেই প্রমাণিত।
Read More News
আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া বিবৃতিতে হৃত্বিক দাবি করেছেন, কঙ্গনার সঙ্গে চলমান ঝামেলার পুরো বিষয়টি গোপনীয়ভাবে আইনিপথেই মিটমাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরইমধ্যে কিছু লোক অযাচিতভাবে বিষয়টিতে ঢুকে পড়েছন। আর ওইসব উপযাচকদের জন্যই বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছে।
হৃতিকের লেখা ‘প্রেমপত্র’ প্রকাশের হুমকি দেয়ার পর মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হল, এই আইনি লড়াই কেন করতে হচ্ছে তাই ঠিকমতো জানেন না তিনি।
হৃতিক বলেন, ‘যেভাবে গোপন কিছু তথ্যকে জনসমক্ষে কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে, তাতে যা ঘটছে, তাকে বিশ্বাসের গলা টেপা ছাড়া আর কিছুই বলা সম্ভব নয়। অন্যের পরিচয় এবং সম্মানকে মর্যাদা জানিয়েই চুপচাপ বিষয়টা মেটাতে চাইছিলাম। কিন্তু, কেউ যখন একজনের সম্মান এবং পরিবারের সম্মান নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন তখন মুখ খোলা ছাড়া আর উপায় থাকে না।’
বিবৃতিতে হৃতিক আরও জানান, যে ইমেইল অ্যাকাউন্টের কথা বলা হচ্ছে, সেটা আসলে তার নয়। বদমতলবে কেউ তার নামে ইমেইল অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। আর সে কারণে ২০১৪ সালে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। এ বছর বেশ কিছু অস্বাভাবিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই অভিযোগ নিয়ে তিনি আবারও পুলিশের কাছে যান।
হৃতিক বলেন, ‘একজনের মানসিকতা যখন প্রচণ্ড নীচে নেমে যায়,তখন তার উচিত এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা।’ বিবৃতিতে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করলেও নিজের ক্ষোভ পুরোটাই উগরে দিয়েছেন এ বলিউড তারকা। আর এ বিষয়ে তাকে চুপ থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে গত ২ বছর ধরে করে কোনো কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন হৃতিক।
সূত্র: এবেলা