টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সির কাছ থেকে প্রথম টুইট বার্তা প্রেরণের দশ বছর পূর্ণ হলো আজ।
প্রথম টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন “এইমাত্র আমার টুইটার চালু হলো”।
এরপর থেকে ইন্টারনেটের এই জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপ নিয়েছে।
অনেকের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে টুইট বার্তা।
টুইটারের মাত্র ১৪০ বর্ণের সংক্ষিপ্ত বার্তাই সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও তারকাদের কাছে প্রভাবশালী ও অপরিহার্য একটা বিষয় হয়ে উঠেছে।
অনলাইনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা বা তা নিয়ে আলোচনার জন্য টুইটারের হ্যাশট্যাগ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।
যেমন সম্প্রতি টুইটারের হ্যাশট্যাগের অন্যতম একটি বিষয় ছিল নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে হ্যাশট্যাগ #jesuisparis।
প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশ কোটি টুইট হয় টুইটারে।
Read More News
টুইটারের দশ বছর পূর্তিতে অনেকেই তাদের টুইট-বার্তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন।
টুইটারে বিয়ের প্রস্তাবটি দেন গ্রেগ রেভিস।
অ্যামেরিকান গ্রেগ রেভিস ভাবছিলেন কিভাবে ভিন্ন উপায়ে তার বান্ধবী স্টেফানিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া যায়। সিদ্ধান্ত নিলেন টুইটারেই প্রস্তাবটি দেবেন।
“অনেকটা হাস্যরসের মধ্যে দিয়েই তাকে বিয়ের প্রস্তাবটা দেই” বিবিসিকে বলছিলেন মি: রেভিস।
“আমরা মেসেঞ্জারে কথা বলছিলাম। স্টেফানি আমাকে বিয়ে করবে কিনা এমনিতেই জানতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সে বললো আমি নাকি কখনোই তাকে এ বিষয়ে সিরিয়াসলি কিছু বলিনি। ভাবলাম এটাই সঠিক সময়। টুইট করে বসলাম”।
“কিন্তু টুইটারে ওইটাই ছিল প্রথম প্রস্তাব এটা জানার পর আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল এটাতো তাহলে আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয় করা যেত!”
২০০৯ সালে বিয়ে করেন স্টেফানি ও গ্রেগ রেভিস।
মি: রেভিস জানালেন যে তারা কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও যোগাযোগের জন্য টুইটার ব্যবহার করেন।
আটলান্টার সুমিতা ডালমিয়াও তাঁর জীবনসঙ্গীর খোঁজ পান টুইটারে।
২০১৩ সালে টুইটারে পরিচয় হয় অনুজ প্যাটেলের সঙ্গে। তারপর ফোনে কথা ও এরপর দেখা হয়।
পরিচয়ের দু’বছর পর অনুজ প্যাটেল টুইটার থিম ব্যবহার করে সুমিতা ডালমিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ২০১৫ সালে।
অন্যদিকে টুইটারের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন মিশরের মারওয়া ম্যামুন।
আর ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী বিতর্কে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন ১৮ বছর বয়সী অ্যাবি টমলিনসন।
#Milifandom নামের হ্যাশট্যাগটি চালু করেন অ্যাবি, কারণ অ্যাবির মনে হচ্ছিল নির্বাচনকে ঘিরে লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের খবর যেভাবে প্রচারিত হচ্ছিল তাতে মি: মিলিব্যান্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছিল।
পরে এই হ্যাশট্যাগটিউ যুক্তরাজ্যের নাম্বার ওয়ান টুইটার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছিল।
নির্বাচনে এড মিলিব্যান্ডের ভাগ্য হয়তো ওই টুইটার হ্যাশট্যাগের জন্য কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি কিন্তু অ্যাবির জীবন অনেক বদলে গেছে ওই ঘটনায়।