বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন

বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন করেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কাউন্সিল উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।

বিএনপির এবারের কাউন্সিলের স্লোগান- দুর্নীতি-দুঃশাসনের হবেই শেষ গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। কাউন্সিলের এবারের প্রতিপাদ্য মুক্ত করবোই গণতন্ত্র।
Read More News

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কাউন্সিলে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। পৌনে ১১টায় জাতীয় পতাকা তুলে কাউন্সিল উদ্বোধন করেন দলের চেয়ারপারসন। এরপর বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত আছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ড. আবদুল মঈন খান।

কাউন্সিল উপলক্ষে ভোর থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আসতে শুরু করেন দলের কাউন্সিলর  ডেলিগেট ও নেতাকর্মীরা।

দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে জাতীয় নেতাদের স্মরণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে জাতীয় নেতা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

এসময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সরকারকে ফের সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বিএনপ  চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সংলাপ চাচ্ছি না। এ দেশের মালিক জনগণ। তাদের জন্য সংলাপ চাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য কিছু দিতেই সংলাপের আহ্বান জানচ্ছি। সার্বিকভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংলাপ চাচ্ছি। খালেদা অভিযোগ করে বলেন, দেশে ক্ষমতায় থাকা এবং না থাকা এখন বেহেস্ত ও দোজখের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা ক্ষমতায় থাকে তারা সুবিধা ভোগ করে আর যারা ক্ষমতার বাহিরে তারা শুধু নির্যাতনই পায়। তিনিও বলেন, সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার পথ নিতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপার্সন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *