স্টার জলসার সিরিয়াল দেখতে না দেয়ায় শিশুর আত্মহত্যা

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসা। প্রতিদিন বিকেল পরে থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত এ চ্যলেনটিতে চলে নানা অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠান গুলো আবার সারাদিন বিভিন্ন সময় প্রচারিত হয়ে থাকে।

আর এসব নাটক গুলো হচ্ছে, তুমি আসবে বলে, বোঝেনা সে বোঝেনা, কিরণ মালা, ওগো বধু সুন্দরী, পটল কুমার, মিলন তিথি, কুন্নি পুকুর ।
Read More News

এই অনুষ্ঠান গুলো এমন সয়ম অনুষ্ঠিত হয় যা বাংলাদেশের সময়ে সন্ধ্যার পর থেকে পরে। আর এসময় শিশু-কিশোররা লিখা পড়ার সময়। তাই শিশু-কিশোররা পড়া শোনা ফাঁকি দিয়ে এ সকল অনুষ্ঠান গুলো দেখে থাকে।

অনুষ্ঠান গুলো পরিবারের শ্বশুর-শ্বাশুরি ও ননদকে জব্দ করতে কিভাবে হয় তার কৌশল শেখানো হয়, এ বিষয় গুলো বেশি প্রাধাণ্য দেওয়া হয়ে থকে। আর নাটক গুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, যে দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠান মিল রেখে। যেমন, বিভিন্ন পুজার দশমি, হোলি বা ঈদ।

এসব অনুষ্ঠারে দিবে প্রতেনিয়ত শিশু-কিশোররা ঝোকছে। আবার অনুষ্ঠান গুলো দেখতে না দিলে অত্মাহত্যার ঘটনা অনেক ঘটেছে। গত বছরের দিকে কিরণ মালা ড্রেস না কিনে দেওয়া বাবা-মা’র ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

গত শুক্রবার রাজশাহীর পুঠিয়ায় টেলিভিশনে স্টার জলসা অনুষ্ঠান দেখতে না দেওয়ায় শাকিলা খাতুন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি উপজেলার বানেশ্বর বিড়ালদহ হাতিনাদা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, হাতিনাদা চৌকিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শাকিলা নিজবাড়িতে টেলিভিশন না থাকায় পার্শ্বের বাড়িতে প্রতিদিন পড়া ফাঁকি দিয়ে রাত্রিতে স্টার জলাসার নাটক দেখতে যেতো। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ায় শাকিলার মা তাকে নিষেধ করে। গত শুক্রবার রাতে নাটক দেখার জন্য পার্শ্বের বাড়িতে যাওয়ার সময় তার মা শাকিলাকে বকাঝকা করে।

এরপর অভিমান করে, ঘরের ভিতর গলায় ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় শাকিলা। বিষয়টি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা টের পেয়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে নেওয়া পথে শাকিলা মারা যায়।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সন্দেহ জনক হওয়ায় লাশটি শনিবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *