বেতন-ভাতাসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তারা। তাদের লাগাতার এ কর্মসূচির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় উপ-রেজিস্ট্রার/সমমান পদে কর্মকর্তাদের ২৫৭৫০-৩৩৭৫০ টাকা স্কেল প্রদান, কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করণ, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মার্চ মাসের বেতনের সাথে বকেয়া পাওনাদি পরিশোধসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
এর আগে দাবি আদায়ে সিন্ডিকেট সভার তারিখ ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারকে ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কর্মকতাদের চাপের মুখে ভিসি গত ১১ মার্চ সিন্ডিকেট সভা ডাকেন। তবে চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখে ওই সভা হয়নি।
Read More News
এর পর শনিবার এক জরুরি সধারণ সভা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় ইবি কর্মকর্তা সমিতি।
এদিকে কর্মবিরতি পালনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি থাকায় সোমবার অধিকাংশ কর্মকর্তা ক্যাম্পাসে আসেন দ্বিতীয় গাড়িতে এবং চলে যান ১২টার গাড়িতে। ক্যাম্পাসে এসে তারা সাড়ে দশটার দিকে প্রশাসন ভবনের নিচ তলায় অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনে যাওয়াটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আন্দোলনে না গিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে আসাটাই ভাল ছিল। তাদের মতে, দ্রুত উভয় পক্ষকে নমনীয় হয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা উচিৎ।
ইবির কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. সোহেল যুগান্তরকে বলেন, ‘কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনে ইচ্ছুক না। কিন্তু প্রশাসনের একগুয়েমির কারণে এ কর্মসূচি পালনে আমরা বাধ্য হয়েছি।’
কর্মকর্তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।