উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আরো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা আরো জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। গত সোমবার থেকে মহড়া শুরু হওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ং প্রতিদিন একের পর এক হুমকি ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহড়া চলবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে পিয়ংইয়ং ওই দুটি দেশের ওপর ‘নির্বিচারে’ পরমাণু বোমা হামলা চালানোরও হুমকি দেয়। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ‘যে কোনো সময়’ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
Read More News
সম্প্রতি তিনি দাবি করেন, তার দেশের বিজ্ঞানীরা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার উপযোগী ছোট আকারের পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে সংক্রান্ত খবরের সঙ্গে কিছু ছবি প্রদর্শন করে। এতে দেখা যায়, কিম জং উন কথিত যুদ্ধাস্ত্রের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। খবরে একে ক্ষুদ্রাকৃতির যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই অস্ত্রের আরো পরীক্ষা চালানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিদর্শনকালে কিম আরো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন। দেশটির সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
কেসিএনএ জানায়, উ. কোরিয়া বৃহস্পতিবার দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। পরীক্ষা পরিদর্শনকালে কিম পুনর্ব্যক্ত করেন, দ. কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া যদি উ. কোরিয়ার একটি গাছ বা একটি ঘাসেরও ক্ষতি করে তাহলে অবিলম্বে পারমাণবিক হামলা চালিয়ে এর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি খুব দ্রুতই সকল ধরণের সামরিক হামলার নির্দেশ দেব। উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি তার চতুর্থ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। এরপরে রকেট উৎক্ষেপণ করে। এতে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়ে যায়। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে বেশ কিছু কঠোর অবরোধ আরোপ করে জাতিসংঘ। অবরোধের জবাবে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।