দেশের বীমাখাত উন্নয়নে ৬৪০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৮ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশ বীমা একাডেমি ও সাধারণ বীমা, জীবনবীমা কর্পোরেশনকে আধুনিকায়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। দেশের আর্থিক খাতের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক মোট ৩ কোটি ডলার অর্থাৎ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে।
Read More News
জানা গেছে, এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের একটি কারিগরি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বিশ্বব্যাংক মনে করে, বীমাখাত সম্ভাবনা খাত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যে কারণে এই সম্ভাবনা খাতে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্বব্যাংক বেসরকারি খাতে পেনশন স্কিম চালু করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু থাকলেও, বেসরকারিখাতে এর পরিপূর্ণ চালু নেই। এতে পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা।
এদিকে, বীমা সংশ্লিষ্টদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বীমা একাডেমি। তবে কোনো সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে যথেষ্ট সুফল পায়নি বীমাখাত। ২০১০ সালে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের পর বীমা একাডেমির উন্নয়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এদিকে সাধারণ ও জীবন বীমা কর্পোরেশনকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে পরিচালনার জন্য আইন ওকাঠামোগত সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।