১৫৩ রান কী কম হয়ে গেলো? এমনটাই প্রশ্ন ঘুরছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল জানিয়ে দিয়েছিলেন, বোলাররা ভালো বোলিং করতে পারলে- এই রান রক্ষা করা অসম্ভব কিছু নয়।
তবে, নেদারল্যান্ডসের মত দলের বিপক্ষে ১৫৩ রান রক্ষা করতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ডাচদের ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ।
ডাচ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আলআমিন হোসেন। ওয়েলসি বারেসিকে (১১ বলে ৯ রান) ফেরান এই পেসার। তার বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দেন বারেসি।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা স্টেফান মাইবার্গকে (২৯ বলে ২৯ রান) ফেরান নাসির হোসেন। তার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মাইবার্গ।
বেন কুপারকে (১৫ বলে ২০ রান) ফেরান সাকিব আল হাসান। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন নেদারল্যান্ডসের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দ্রুত পিটার বোরেন (২৮ বলে ২৯ রান) ও রোয়েলফ ফন ডার মারউইকে ফিরিয়ে দিয়ে নেদারল্যান্ডসকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বলে নাসির হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বোরেন। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন ফন ডার মারউই (৩ বলে ১ রান)।
Read More News
বোলিংয়ে ফিরেই আঘাত হানেন আল আমিন হোসেন। তার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আরাফাত সানির চমৎকার ক্যাচে পরিণত হন টম কুপার (১৮ বলে ১৫ রান)।
সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে হল্যান্ড চোখ রাঙিয়েছে অনেকবারই। বিশেষ করে স্টিফেন মাইবার্গ আর পিটার বোরেনের ২৯, বেন কুপারের ২০ আশা জাগিয়েছিল হল্যান্ডের।
কিন্তু সাকিব-মাশরাফি-নাসির আর তাসকিনদের বোলিংয়ের সামনে সেই আশাটাকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেনি তারা। জয়টা মাত্র ৮ রানের হলেও এই জয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা একটা বড় ভূমিকাই রেখেছে।