রাজনৈতিক দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশের পরিবর্তে আইন করে নারীদের ৫০ শতাংশক্ষমতায়ন চান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বুধবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দাবি তোলেন সংসদের প্রথম নারী স্পিকার। শিরীন শারমিন বলেন, ‘রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে আমরা ৩৩ শতাংশে রয়েছি। এটা সমান-সমান করতে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কী আইনি ও নীতি সংশোধন প্রয়োজন, সেটা নির্ধারণ করতে হবে।’ রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের শর্তে নারী সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ পদে রাখতে বলা হয়েছে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর ২০২০ সালের মধ্যে পূরণের প্রতিশ্রুতি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। আট বছর পেরিয়ে গেলেও দলগুলোর কমিটিতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি প্রতিশ্রুতির কাছাকাছিও পৌঁছেনি। ২০৩০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের সমতার লক্ষ্যে জাতিসংঘের ঘোষিত লক্ষ্য নিয়ে ওই আলোচনা সভায় শিরীন শারমিন বলেন, ‘আমরা বলছি সমতা আনতে হবে।
Read More News
কিন্তু সেটা কীভাবে? তা ভেবে দেখতে হবে।শুধু বললে হবে না, সমতা আনার পথ নির্ধারণ করতে হবে। দেশের আইনি কাঠামো, পরিকল্পনা, নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।’ ২০৩০ সালের মধ্যে সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি পুনঃপরীক্ষার কথাও বলেন শিরীন শারমিন। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি পুনঃপরীক্ষা করতে পারি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কর্মকৌশল পরীক্ষা করে দেখতে পারি।’ সমতা অর্জনের কৌশল নির্ধারণে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থা বিবেচনায় আনার আহ্বানও জানান স্পিকার। স্পিকার বলেন, ‘আমাদের তৃণমূলের যেসব নারী প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন, সকলেই এই ক্ষমতায়নের অংশীদার।
তাদের অবস্থান বিবেচনা করে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।নারীর সমতা অর্জনের জন্য সামনের দিনের চ্যালেঞ্জগুলো ভিন্নধর্মী। যেগুলো মোকাবেলা করে এখানে এসেছি, সেগুলোকে আরও সুনিপুণভাবে নিশ্চিত কতে হবে।’ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট (এসটিডি) ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসটিডির চেয়ারপারসন মাহবুবা নাসরীন। বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়কমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরীন আহমাদ, জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য কাজী রিয়াজুল হক, এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী মাবিয়া আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান প্রমুখ।