অভিনয় দিয়ে তিনি অসংখ্য হৃদয় জয় করে থাকতে পারেন, কিন্তু নিজের মা-বাবার কাছে কঙ্গনা আসলে আনওয়ান্টেড চাইল্ড!
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিজের অতীতের এই কথাটাই মনে পড়ে গেল কঙ্গনা রানাউতের। নিজের মুখে শোনালেন শৈশবের সেই সব দিনগুলোর কথাও। জানালেন, আনওয়ান্টেড চাইল্ড হওয়ার জন্য উঠতে বসতে তাঁকে কত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
কঙ্গনার মা-বাবার প্রথম সন্তান মারা যায় মাত্র ১০ দিন বয়সে। বংশের প্রদীপ এই পুত্র সন্তানটির নাম দেওয়া হয়েছিল হিরো। তার পর কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলির জন্ম হয়। দিদির পর যথন তাঁর জন্মের পালা আসে পরিবারের সকলেই পুত্র সন্তান আশা করেছিলেন। কঙ্গনাকে দেখে মা-বাবা দু’জনেই ভীষণ ভেঙে পড়েন। আর যখন থেকে কঙ্গনা একটু বুঝতে শিখেছেন তখন থেকেই তিনি নাকি অনুভব করেন পরিবারে তাঁর কোনও গুরুত্বই নেই। অন্যান্যরা তো বটেই, বাবা-মাও নাকি উঠতে বসতে তাঁকে মনে করাতেন তিনি আসলে আনওয়ান্টেড চাইল্ড। এমনকী, অতিথিদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করানোর সময়ও তাঁকে আনওয়ান্টেড চাইল্ড বলেই সম্বোধন করতেন। কেন? কারণ, দিদি রঙ্গোলির পর আরও একটা কন্যা সন্তান তাঁরা চাননি।
Read More News
২৮ বছর বয়সী এই বলিউড অভিনেত্রী ‘কুইন’ এবং ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’-এর মতো নারী ভিত্তিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। নিজেকে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম মনে করেন না কঙ্গনা। তিনি মনে করেন, এখনও আমাদের সমাজে পুরুষদের সেবা করাটাই মেয়েদের একমাত্র কাজ বলে মনে করা হয়। এটা নেহাতই পিছিয়ে পড়া ধারণা।