ধর্মশালায় বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং হলেও, এশিয়া কাপে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেইসঙ্গে, দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা ফর্মে ফিরলে কঠিন প্রতিরোধ গড়া সম্ভব বলেও মনে করেন ম্যাশ। অন্যদিকে, বাংলাদেশকে ফেভারিট মানলেও, অঘটনের স্বপ্ন দেখছেন ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেন।
নিরাপত্তা ইস্যু এতোটাই স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও ধর্মশালায় অনুশীলনের সময় কার্ড ঝুলিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। নিরাপত্তার পর সবচেয়ে আলোচনায় এখানকার বৈচিত্র্যময় কন্ডিশন। কখনও গরম কখনওবা শীত কিংবা আকাশে সূর্য থাকলেও কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই শিলা বৃষ্টির রসিকতা। আবহাওয়ার এমন ভিন্ন চরিত্রটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
Read More News
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘এখানকার কন্ডিশনটা একটু অন্যরকম, দিনে বেশ গরম এবং সন্ধ্যার আগে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আমাদের দুটো ম্যাচ আছে তারমধ্যে কালকের ম্যাচটি দিনে। মাঠে রানিংয়ের পর নিঃশ্বাস নিতে একটু সমস্যা হয়। এখানে আরো বেশী সময় পেলে ভালো হতো। চেনা পরিবেশের বাইরে এসে খেলা, আমি মনে করি এটা ক্রিকেটের শিক্ষার জায়গা। তারপরেও আমরা আশা করি চাপটা নিতে পারবো।’
কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশ। বাসাতে গুঞ্জন মুস্তাফিজ ফিট না হওয়ায় খেলতে পারবেন না। আবু হায়দার রনির জায়গায় দেখা যেতে পারে স্পিনার আরাফাত সানিকে। অর্থাৎ তিন পেসার এক বিশেষজ্ঞ স্পিনার ও ৭ জন ব্যাটসম্যান হাথুরুসিংহের ওরা ১১ জন। তবে, প্রস্তুতি মঞ্চে সাকিব ও মুশফিক নেটে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করেছেন। কারণ তাদের রানে ফেরাটা বড্ড জরুরি। আর তারা ফর্মে ফিরলে তো ডাচ দুর্গ চূর্ণ করবে টাইগাররা নিমিষেই।
মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘মুশফিক, সাকিব বাংলাদেশ দলকে যথেষ্ট সার্ভিস দিয়েছে। আমরা একজনকে পেতে গিয়ে অন্য দু’জনকে হারাতে চাই না। আমরা রিয়াদ নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছিলাম সেখানে আমরা সফল।’
অন্যদিকে, আইসিসির সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডস ২০১২ সালে বাংলাদেশকে এই ফরম্যাটে এক বার হারিয়েছিল। সেই স্মৃতি তাদের মধুর প্রেরণা। তাদের টি-টোয়েন্টি ফেরিওয়ালা টেন ডেসকাটে দলে নেই। তারপরেও, অদম্য বাংলাদেশকে ফেভারিট মেনে দিবা-স্বপ্নে বিভোর ডাচরা।
নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক পিটার বোরেন বলেন, ‘আমাদের গ্রুপে বাংলাদেশই ফেভারিট। তারা দুর্দান্ত দল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও তাসকিন, আল আমিন, সাকিবরা ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখে। তবে আমরাও আত্মবিশ্বাসী। বাংলাদেশকে আটকানোর ক্ষমতা আমাদের আছে।’
এ পর্যন্ত দু’দলের দু’বারের সাক্ষাতে সমান একটি করে জয়।