তিউনিসিয়ার লিবিয়া সীমান্তে সংঘর্ষে নিহত ৮৬, সীমান্ত বন্ধ

তিউনিসিয়ার পূর্বাঞ্চলে সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর লিবিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে তিউনিস কর্তৃপক্ষ। এর আগে সীমান্ত শহর বেন গারদানে আইএস-এর হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে ৩৩ জঙ্গি ও বেসামরিক নাগরিকসহ ৫৩ জন নিহত হয় বলে জানায় গণমাধ্যম। এ অবস্থায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কাইদ ইজেবসি।

সোমবার তিউনিশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে একটি সেনাঘাঁটি ও পুলিশ স্টেশনে অতর্কিত হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের আইএস জঙ্গি উল্লেখ করে তারা লিবিয়া থেকে তিউনিসিয়ায় ঢুকেছে বলে জানায় নিরাপত্তা বাহিনী।
Read More News

জঙ্গি হামলার পরপরই সীমান্ত শহর বেন গারদান-এ কারফিউ জারির পাশাপাশি ব্যাপক অভিযান শুরু করে তিউনিসীয় সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত ও ৬ জনকে আটক করা হয় বলে দাবি দেশটির স্বরাষ্ট্র দপ্তরের। জঙ্গি হামলা ও সামরিক অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীরও ৯ সদস্যের মৃত্যু হয় বলে জানায় বিবিসি।

সোমবারের এ জঙ্গি হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে, এতে নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কাউদ ইজেবসি।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আত্মোৎসর্গ ও অক্লান্ত পরিশ্রমে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। বেন গারদান শহরের অধিবাসীরাও এ অভিযান পরিচালনায় সেনাদের সহযোগিতা করায় তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমরা লিবিয়ার জনগণকে দোষারোপ করছি না। কিন্তু লিবিয়া থেকে আমাদের দেশে জঙ্গিদের প্রবেশের বিষয়টি কঠোরভাবে দমন করা হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে আমাদের যুদ্ধ চলবে।’

 

 

সোমবারের এ জঙ্গি হামলার পর লিবিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে তিউনিসিয়া সরকার। এরই মধ্যে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এর মাধ্যমে লিবিয়া থেকে সশস্ত্র হামলাকারীদের প্রবেশ রুখে দেয়া যাবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা। গত সপ্তাহেও সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে ৫ হামলাকারী ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *