জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে তারেক রহমানকে টার্গেট করা হয়েছে

জাতীয়তাবাদী শক্তি ধ্বংস করতে ১/১১-এর সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন সরকার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। কারণ  তিনি তৃণমূল থেকে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন। তিনিই জাতীয়তাবাদী শক্তির ভবিষ্যৎ কান্ডারী।  কারাগারে নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে। ১/১১ সরকারের মতো বর্তমান সরকারেরও টার্গেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবার। এ সরকার ১/১১ সরকারের এক্সটেনশন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারাবন্দী দিবস উপলে জাতীয় প্রেসকাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
Read More News

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১/১১ সরকারের টার্গেট তারেক রহমান। ১/১১ সরকার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করেছে। নির্যাতন করে তার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে দেয়া হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল তারেক রহমানকে হত্যা করা। বর্তমান সরকারও তারেক রহমান, জিয়া পরিবার ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ভয় পায়। তাই তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।

‘১/১১ সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে মতায় বসিয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা মাইনাস টু ফরমুলার কথা বলে মাঠে নামলেও আসলে তার মাইনাস ওয়ান করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। তারা দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। : খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫টি মামলার আসামি ছিলেন। তিনি প্যারলে বিদেশে চিকিৎসা করতে গেছেন। জামিন নেননি। এখন জানি না তিনি (শেখ হাসিনা) জামিন নিয়েছেন কিনা?

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপাসন  বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটা বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ করছেন। একটি দলের প্রধান হয়ে অন্য দলের প্রধানের সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা আপনার ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। : ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ১২টি দুর্নীতির মামলা দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

বর্তমানে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন। : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মোস্তাহিদুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম ও আসাদুল করিম শাহীন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *