পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাটকে এখন থেকে কৃষিপণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। পাট উৎপাদন, বিপণন ও রফতানির ক্ষেত্রে কৃষিপণ্য হিসেবে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রদান করা হবে।পরিবেশবান্ধব তন্তু হিসেবে পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পাট খাতের মাধ্যমে এখনও বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।’
Read More News
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় এ সময় মজুরি কমিশন গঠনেরও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষার্থে সরকার শ্রমিকদেরও মজুরি বৃদ্ধির জন্য শিগগিরই মজুরি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এর সফল বাস্তবায়নে সম্মাননা প্রদান ও তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটজাত পণ্য মেলা-২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। খবর বাসসের
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহম্মদ ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর এবং অধিদফতরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’-এর সফল বাস্তবায়নে ১৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসহ ৪১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।