ঢাকার রামপুরার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে ইশরাত জাহান অরণী (১৪) ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ও তার ছোট ভাই বনশ্রী হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারির ছাত্র আলভী আমানের (৬) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মর্মস্পর্শী এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বনশ্রীর হাউজ-৯ রোড ৪, ব্লক ডি-এর বাসিন্দা গৃহকর্তা ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ আমান তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম ওরফে জিয়াসমিন আমান ও দুই সন্তানকে নিয়ে গত রোববার বিকেলে রামপুরার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খেতে যান। খাবার শেষ করে কিছু খাবার প্যাকেট করে তারা বাসায় নিয়ে আসেন। ওই খাবার গতকাল দুপুরে মা মাহফুজা বেগম ফ্রিজ থেকে বের করে তার দুই সন্তান ইশরাত ও আলভীকে খেতে দেন। খাবার খাওয়ার পরপর দুইজনেই ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর থেকে সাড়াশব্দ নেই। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় মা মাহফুজা বেগম চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশীরা দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি কিনিকে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাত পৌনে ৮টার দিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে নিহতের মা ও প্রতিবেশী গোলাম সারোয়ার অভিযোগ করেন, চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে ইশরাত ও আলভীর মৃত্যু হয়েছে। রাত পৌনে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নাম জানাতে পারেননি।
Read More News
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, হতে পারে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যে খাবারটি তৈরি করা হয়েছিল সেটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পচাবাসি ছিল। সেটা খাওয়ার পরই ফুড পয়জনিং হয়ে স্টমাকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। নিহতদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের নয়াপাড়া গ্রামে।