মিরপুরের বাতাসে গত কয়েকদিন ধরে এমন সংবাদ হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে।টাইগার দলপতি মাশরাফি ভক্তদের জন্য অাসতে পারে বড়ই দুঃসংবাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা! লাল-সবুজ পতাকা গায়ে বাংলার হয়ে শুধুমাত্র ওয়ানডে খেলবেন বলেই জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সুত্র।
আগামী ৮ মার্চ থেকে ভারতে বসবে টি২০ বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর। টি২০ বিশ্বকাপ খেলে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকে গুডবাই জানাতে পারেন বাংলাদেশ দলের ভাগ্যবিলাসি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
Read More News
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা আবিস্কার মাশরাফি-অনেকেই দ্বিমত করেন। কিন্তু এটা সত্যি, ছয় ছয়বার অস্ক্রোপচার করে যেভাবে আন্তর্জাদিক ক্রিকেট খেলছেন, সেটা বিরল। গোটা ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ক্রিকেটার খুঁজে পাওযা যাবে না, ছয়টি অস্ত্রোপচারের পরও ক্রিকেট খেলেছেন। এমন উদাহরণ নেই বলেই মাশরাফি বলেন, ‘আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। তাই নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখনও ক্রিকেট খেলছি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সফলতা ও ব্যর্থতার রাজ সাক্ষী মাশরাফি বিন মুর্তজা।
২০০১ সালে ওয়ানডে ও টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। বোলার ও অধিনায়ক হিসাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদান মূল্যায়ন অবিস্বরনিয়। এশিয়াকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে অবসরের চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারেন বাংলা ক্রিকেটের অনন্য এক উদাহরন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর গত ১৬ বছর ধরে খেলে চলেছেন এবং দাপটের সঙ্গেই খেলছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটই তার প্রমান। দুই হাটুতে ব্যান্ডেজ নিয়ে নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করছেন। গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট তার হাত ধরেই বদলে গেছে। ক্রিকেটকে তিনি এই ক’বছর দুই হাত ভরে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, মাশরাফি ওয়ানডেতে ১৬০টি ম্যাচ খেলে ২০৪টি উইকেট নিয়েছেন। ৩৬ টেস্টে ৭৮ টি উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে ৩৯ টি-টোয়েন্টি খেলে ৩৩ টি উইকেট তার ঝুলিতে। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্টে তার রান ৭৯৭, ওয়ানডেতে ১৪৪২ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩২১।