মার্কিন যুদ্ধবিমান গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়ে থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। গত বছর প্রতিবেশী তিউনিসিয়ায় দুটি রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলার পেছনে জড়িত বলে সন্দেহভাজন একজন ছিল এ বিমান হামলার লক্ষ্য। খবর রয়টার্সের।
উত্তর আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ দেশ লিবিয়ায় গত তিন মাসে এটি আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বিমান হামলা। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির উৎখাতের পর লিবিয়ায় সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির সুযোগে জঙ্গি ইসলামপন্থী সুন্নি সংগঠনটি সেখানে অবস্থান গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
পশ্চিম লিবিয়ার সাবরাতা শহরের মেয়র হুসেইন আল-থাওদি বার্তা সংস্থাকে বলেন, মার্কিন কয়েকটি যুদ্ধবিমান স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় হামলা চালায়। বিমানের গোলা নগরের কাসর তালিল এলাকায় একটি ভবনে আঘাত হানে। মেয়র বলেন, এ হামলায় ৪১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ সংখ্যা যাচাই করা যায়নি। মেয়র বলেন, কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভবনটিতে কিছুসংখ্যক অস্ত্র দেখা গেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন তিউনিসীয় ও একজন জর্ডানি। দুজন নারীও এতে নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি সাবরাতা শহরে আসা বেশ কয়েকজন তিউনিসীয় বাড়িটিতে থাকলেও তাঁরা বেঁচে গেছেন।
Read More News
একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, বিমান হামলার লক্ষ্যের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ তিউনিসীয় জঙ্গি নুরেদ্দিন চৌচানে। মনে করা হয়, তিনি গত বছর রাজধানী তিউনিসের বার্দো জাদুঘর ও পর্যটন শহর সুসেতে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিলেন। কর্মকর্তারা আগে বলেছেন, ওই উভয় হামলায় অংশগ্রহণকারীরা লিবিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। আইএস দুটি হামলারই দায় স্বীকার করেছিল।
পেন্টাগনের আফ্রিকা কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল মার্ক চিডল বলেন, ‘আমরা এ অভিযানের ফলাফল পর্যালোচনা করছি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কয়েক দিন আগেই বলেন, লিবিয়ায়ও আইএসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে।
তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে বলেছে, সাবরাতা শহরের কাছে শিবিরগুলোতে তিউনিসীয় আইএস জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে তারা মনে করে। জায়গাটি লিবিয়া সীমান্তের কাছে।