হবিগঞ্জের বাহুবলে রফিক মিয়া নামের জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন যুবসংহতির একজন নেতার পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রংপুরের মিঠাপুকুরে বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামের জাতীয় পার্টির এক নেতা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বাহুবলের বার আউলিয়া নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট রেললাইনের পাশ থেকে যুবসংহতির নেতা রফিক মিয়ার (৩৫) পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জাহের মোল্লা (৪৫) ও তাঁর ভাই আবুল কালামকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রফিক বাহুবলের মিরপুর ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি ও উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। গত শনিবার নিখোঁজ হন তিনি। বিষয়টি বাহুবল থানাকে অবগত করেছিল তাঁর পরিবার। পরে গতকাল রেললাইনের পাশে এক ব্যক্তির পাঁচ টুকরা লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন লাশটি রফিকের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ রফিকের বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর লুঙ্গি ও গেঞ্জি এবং রক্তমাখা একটি কুড়াল উদ্ধার করেছে।
রফিকের চাচাতো ভাই আবদুস সালাম জানান, একটি রাস্তা নিয়ে রফিকের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীর বিরোধ চলছিল।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুপুরে রফিকের দুই প্রতিবেশীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে রংপুরের মিঠাপুকুরে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিবদমান দুটি পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ (৪০)। এ ঘটনায় দুই পক্ষের দুই প্রধান মমতাজ উদ্দিন, দুলাল মিয়াসহ ছয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে অনেক আগে থেকেই বিরোধ ও সংঘর্ষ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেল পাঁচটায় তাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সংঘর্ষ থামাতে যান গ্রামের বাসিন্দা ও জাতীয় পার্টি নেতা মাসুদ। এ সময় তাঁর মাথায় লাঠির আঘাত লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সংঘর্ষ ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মিঠাপুকুর থানার ওসি হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, মাসুদের লাশ থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।