নৌ-টহল জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র’

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় নৌ টহল জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাগরটিতে মার্কিন তৎপরতাকে উসকানি হিসেবে উল্লেখ করে চীনের কঠোর সমালোচনার মাঝেই এ পরিকল্পনা ঘোষণা করল দেশটি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন সেনা কমান্ডার অ্যাডমিরাল হেরি হ্যারিস এ পরিকল্পনা ঘোষণা করে তার ভাষায় বলেন, ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সেখানে টহল তৎপরতা জোরদার করা হবে।’ওয়াশিংটনে মার্কিন আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-টহল আরো জোরদার করা হবে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ওই সাগরে বিমান ওড়ানো এবং নৌজাহাজ পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করে তিনি দাবি করেন, ‘এ আইনে আরো যে সব সুবিধা দেয়া আছে তার সবই ভোগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকাগুলোর উপর ঐতিহাসিকভাবে চীন নিজেদের সার্বভৌম অধিকার দাবি করে অাসছে। পাশাপাশি একই ধরনের দাবি করছে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ান। বিরোধপূর্ণ এসব এলাকা হলো স্পার্টলি, পারাসেল, প্রাসাটাস এবং স্কেয়ারবোরো দ্বীপপুঞ্জ।
এদিকে, গতকাল এএফটির এক খবরে বলা হয়, চীন বিতর্কিত উডি দ্বীপে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করা হয়। এর একদিন পরই মার্কিন সেনা কমান্ডার অ্যাডমিরাল হেরি হ্যারিস নৌটহল জোরদারের এ পরিকল্পনার কথা জানালেন।যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যে আঞ্চলিক এ বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে এবং চীনের বিরুদ্ধে ফিলিপাইন, জাপান ও তাইওয়ানের মতো মিত্রদেশগুলোর পক্ষ নিয়েছে। এ ছাড়া, কয়েক দফা মার্কিন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করেছে। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের ট্রিটন দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যদিয়ে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরী ইউএসএস কার্টিস উইলবার অতিক্রম করেছে বলে পেন্টাগন স্বীকার করেছে।
Read More News

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *