নির্বাচনে মুখর এখন দেশের অনেকাংশের ইউয়নিয়নগুলো ।ইউপি নির্বাচন মানেই গ্রামের নির্বাচন। যা সংসদ কিংবা মেয়র নির্বাচন থেকে অনেকটাই আলাদা। কেননা একজন এমপি অথবা মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ভোটারদেরই মুখ গুলো থাকে অচেনা । কেবল মাত্র ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ই অনেকের সাথে করমর্দনের সুযোগ হয় । নির্দিষ্ট কিছু নেতা নেত্রিরাই প্রচারণার কাজে নিয়োজিত থাকেন । কিন্তু ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা থাকেন এলাকার অথবা আত্মীয় স্বজনের মধ্যে । একে অপরের সাথে থাকে বিভিন্য কেন্দ্রিক পরিচয়।গ্রামে বন্ধু বান্দব আত্মীয় স্বজন কিংবা পাড়া প্রতিবেশীর মাঝে থাকে অন্য রকম এক আত্মিক সম্পর্ক যা শহুরে পরিবেশে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বিশেষ করে মেম্বর পদপ্রার্থীরা থাকেন একেবারেই এলাকা কেন্দ্রিক। ছোট একটি ইউনিট ভিত্তিক মেম্বর পদপ্রার্থী হওয়ায় তাদের ভোটাররা থাকেন নিত্য দিনের চেনা জানা তাই ভোটের ব্যাপারটাও হয়ে যায় অনেক খানি কঠিন। ভোটাররাও পরে যায় দিধা-দন্ধে ,কাকে রেখে কাকে দেওয়া যায় । অনেকে ভোটের এতটা আমেজ উপেক্ষা করেও পালন করেন নীরব ভুমিকা । কারন হিসেবে দেখা যায় প্রার্থীগণের সবাই-ই তার কোন না কোন ভাবে নিকট আত্মীয়। কার জন্য প্রচারণা করবেন কে কস্ট পাবেন অথবা নাখোশ হবেন ।
Read More News
ইংরেজি ২০১৬ সাল শুরু হতে হতেই তোর জোরে শুরু করেছেন প্রার্থীগন তাদের কার্যক্রম । বিশেষ করে নতুন বছরের ক্যালেন্ডারে নিজেদের ছবি সংযুক্ত করে প্রতি ঘরে সাঁটিয়ে দিয়েছেন শুভেচ্ছা । জানান দিয়েছেন তিনি হতে যাচ্ছেন আসন্ন ইউপি নির্বাচনের একজন প্রার্থী । গ্রামের আবেগ আপ্লুত সাধারন মানুষগুলো বলছেন সারা বছরই যদি নির্বাচন থাকতো তাহলে ভালই হতো । কারন প্রত্যেক প্রার্থীকেই তারা এখন কাছে পাচ্ছেন । বিশেষ করে কোন বাড়ীতে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলে চেয়ারম্যান মেম্বর সকল প্রার্থীকেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে ।এলাকার কোন বাড়ীতে কোন লোক মারা গেলে সহানুভূতির জন্য ছুটে আসেন সকল পদপ্রার্থীরা।উপস্থিত থাকেন জানাজার নামাযেও ।
বরিশালের চরকাউয়া ইউনিয়নের একজন ভোঁটার বলেন কয়েক দিন আগে কাছেই বসবাসরত মৃধা বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় একটি মেজবান । কিন্তু সেটা মেজবানের মত মনে হয়নি মনে হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দু । কারন এলাকার প্রায় চার হাজার লোক সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন । আর সকল প্রার্থীগনই সেই সুযোগ টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন ।
যতই দিন ঘনিয়ে আসছে সন্ধার বাজারে চায়ের কাপ ততই গরম হয়ে উঠছে । অনায়াসেই এর আমেজ সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে , প্রার্থীরা হয়ে উঠছেন আরো প্রচারণা মুখী । নিজেদের বাড়ী সহ বাড়ি বাড়ি হেটে চলছেন আর করছেন মিটীং এর বন্দোবস্ত।
চলছে চলবে যতদিন না এলাকায় মানুষ পেয়ে যাচ্ছেন তাদের নির্বাচিত নতুন চেয়ারম্যান আর নতুন মেম্বর।