ভালবাসা দিবসে “ভালবাসা”

অন্তরা সেঁজেছে অন্তর দিয়ে….. । এক আজ ভালবাসা দিবস দুই ভালবাসা দিবসে ভালবাসার মানুষ অর্নবের জন্য ।নিত্য দিনের ব্যতিক্রমে অন্য এক রঙিন দোলায় দুলছে হৃদয় ।বসন্তের বাসন্তি রঙের আবছায়া আর ভালবাসা দিবসের উচ্ছল প্রানের রঙিন আবেশ যেন রঙে রঙে রঙিন সবই রঙিন মন রঙিন ভুবন । আয়নায় দাড়িয়ে নিজেকেই খুঁজে পাচ্ছেনা সে ।যেন শুকনো পৃথিবী ভিজে গেছে তার আলতো পরশে ।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পর্বের অন্তরা লাজুক চোখে মিষ্টি হেসে মাকে বাই বাই বলে সুচনার পথ ধরে অর্নবের ।কথা দেয়া নির্দিষ্ট পানে প্রতীক্ষারত অর্নব ।ভালবাসার মানুষটি এখনো আসেনি, কখন আসবে, আসবে তো ? না, আসছি আমি যেন বলছে দেখ স্বপ্নপরী ।শ্যমল ছায়া আর হালকা সবুজের চারদিকে ঘেরা মিঠা পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে নিজের জিবনের অতীত প্রতিচ্ছবি দেখছে বসে অর্নব ।ভাবছে জিবনটা কি আসলেই একটি পরীক্ষাগার নাকি রহস্যে ঘেরা….. । হঠাৎ পিছন থেকে মিষ্টি আর মুগ্ধতায় পূর্ণ একটি  উচ্চারন অর্নব দ্বিতীয়তে অর্নব ফিরে তাকায় কিন্তু একি ! একি রহস্যে ঘেরা আমার কল্পনা নাকি সত্যিই ভালবাসা আমার,আমার ভালবাসা অন্তরা ।ধিরে ধিরে অন্তরার কাছে আসা আর ততই অর্নবের ভয়ে ভয়ে হৃদয়ে কাঁপন ধরা । একি আগুন নাকি সূর্যের লাল লালিমা,তপ্ত অথচ বিশুদ্ধ । অনেক অনেক  ভাবছে অর্নব সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব কিছু কেমন যেন,সমস্ত পৃথিবী কেমন যেন, ঘুরছে পৃথিবী, ঘুরছে আকাশ । অর্নব এবার মাটিতে পরে যাবে ভেবে  চোখ বন্ধ করে দারিয়ে আছে । তোমার কি শরির খরাপ অর্নব ? না । তাহলে কি মন খারাপ ? না ।তাহলে কি ,না কিছু হয়নি অন্তরা আমি ঠিক আছি শুধু তোমাতে আমাতে গুলিয়ে ফেলছি । কি গুলিয়ে ফেলছো ? না কিছুনা ।আমার ভালবাসার অন্তরা আসলেই যে এত সুন্দর তা তো জানতাম না তাই সব….হা হা হা ।দেখ, সুন্দর মনের চোখ দিযে তুমি যা কিছু দেখবে তাই- ই সুন্দর হি হি হি। বাদ দাও ওসব আমি সুন্দর হলেও তোমর অসুন্দর হলেও তোমার ।সেটাই তো আমার ভয় অন্তরা কারন….। কারন আর বলতে হবেনা আমি জানি তুমি নাস্তা করনি চল নাস্তাটা সেরে বের হয়ে পরি ।একটু অপেক্ষা কর অন্তরা , প্লিজ ।কেন ?আমার একজন গেষ্ট আছে । আজ তোমার গেষ্ট ! কে সে ? সেকি তোমার বন্ধু ? প্লিজ অন্তরা  ও এখনি  আসবে তুমি মন খারাপ করনা ও আসলেই আমরা তিনজন একসাথে নাস্তা করব কেমন ।অন্তরার খুব রাগ হতে লাগল একসময় মন খারাপ হয়ে গেল  আজকের দিনটিতে অন্য কেউ যার জন্য আপেক্ষা তাহলে আমি কে ! এ দিনটি তে ও আর আমি এর মাঝে কে ? কে সে? তাহলে কি….আমি কি তাকে কখনও দেখেছি অর্নব ?না তুমি ওকে দেখনি । ঠিক আছে তাহলে তুমি ওকে আজ সময় দাও আমাদের পরে দেখা হবে অন্তরার আরাল চোখে কষ্টের জ্বল । না অন্তরা প্লিজ প্লিজ এমনটা করনা আমাকে ভুল বুঝনা আজ ওর সাখে তোমার পরিচয় করিয়ে দেব । কি বলছ তুমি , তুমি কি ঠিক আছ বলল অন্তরা ।ওইতো ও আসছে অন্তরা বলছে আর হাসছে অর্নব যেন প্রান খুলে হাসছে অর্নব।কই কোথায় তোমর গেষ্ট । কেন তুমি দেখতে পাচ্ছনা ওই যে ফুল হাতে ।ওতো একটি বাচ্চা ছেলে ফুল বিক্রি করছে । না ও-ই আমার গেষ্ট । দেখই না তুমি ।ততক্ষনে গেষ্ট দু’জনের সামনে দারিয়ে ।ফুলগুলো অর্নবের হাতে দিয়ে বলল নেও বন্ধু  । তোমার জন্য আনছি । তাহলে ওনার জন্য কি আনছ অন্তরাকে দেখিয়ে বলল অর্নব ।লজ্জামুখে অবনত অতিখি ।হাসছে অন্তরা আর হয়ত ভাবছেও এই সেই ওর প্রিয় অতিখি ।ফুলগুলো অর্নবের হাত খেকে নিয়ে দুই ভাগ করে দু’ইজনকে দিল প্রিয় অতিথি । ওরা দুজনই হাসল আর আনন্দও পেল ।বুকে জ্বরিয়ে অট্টহাসি হাসলো অর্নব, যেন পৃখিবীর সমস্ত সুখ ওর অন্তরে ।এবার চল আমরা নাস্তা করব বলল অর্নব । ওরা নাস্তার জন্য হাটছে..। অন্তরা ভালবাসার বন্ধুর চিবুক ধরে বলল খুব বুদ্ধি তো তোমার বন্ধুর জন্য ফুল নিয়ে এসেছো ।সবাই দেথতাছি সবার জন্য লইয়া যাইতাছে আমিও লইআইলাম ।কোথায় পেয়েছো এগুলো ।কিন্না আনছি । টাকা পেলে কোথায় ।বন্ধুই দিছিলো জমাইয়া রাখছি । বাহ্ বেশ ভাল বন্ধু তো তোমার অর্নব। ওরা দু’জনই হাসছে । নাস্তার টেবিলে অন্তরার পাশে প্রিয় অতিখি বিপরীতে অর্নব ।তোমার নাম কিন্তু জানা হোলনা বন্ধু অন্তরা বলল ।আমার নাম বারেক ।তাহলে তো বার বার ফিরে তাকাতে হবে তোমার দিকে ।ওরা দু’জন হাসছে ।বারেকের বোঝার সাধ্য কোথায় এ হসির কি কারন ।বারেকও হাসছে…..।তোমারা ক ভাই বোন । আমি একা ।বাবা মা ? জানিনা ।কোথায় থাক তুমি ? সেন্টারে ।আজ ওকে আর জিজ্ঞেস করনা প্লিজ,আমি তোমাকে সব বলব । ওকে বন্ধুর বন্ধু ।হা হা াহ । নাস্তা শেষ ।অর্নব জিজ্ঞেস করল কোথায় যাবে  অন্তরা ।অন্তরা বলল বন্ধুর বন্ধু যেদিকে নিয়ে যায় ।আচ্ছা, ঠিক তো । একদম  ঠিক ।চল শিশুপার্ক যাই অর্নব বলল ।অন্তরা অবাক শিশুপার্ক ?আজ শিশুপার্ক যাব আমরা !কিন্তু কেন?আমাদের সাখে কি কোন বাবু আছে ? কেন বারেক ওতো যাবে ।বারেককে নিয়েই আজ আমরা দু’জন সারাদিন ঘুরব বারেক যাবে ! যেন আকাশ ভেঙে পরল অন্তরার মাখায় বলল তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে ।তুমি কি দিনটা মাটি করতে আমাকে ডেকেছো ।এমন একটি দিনে কেন এমনকরছ তুমি অর্নব ! কেন অন্তরা তাতে কি হয়েছে । সবাই কি বলবে ।তোমার সব বন্ধুরা আমার বন্ধুরা উঃ ।আমরা আজ না হয় সবার মতো না হই । অর্নব অন্তরাকে বারেকের কাছ থেকে কিছুটা দুরে সরিয়ে নিল পাছে ও না শুনতে পায় ।অন্তরা আজ না হয় আমরা একটু ব্যতিক্রমভাবে দিনটাকে পালন করি ।অন্তরা বলল কিন্তু কেন ? আমাদের ভার্সিটির সবাই এটা নিয়ে হাসবে ,ওর ড্রেস দেখেছো তুমি ,আবার কিনা ওকে নিয়ে এক রিক্সায় ! চল তোহলে আগে ওর ড্রেস কিনে দেই তারপর ওকে নিয়ে শিশুপারক যাব ।খুব বারাবারি  করছ তুমি অর্নব, খুব….এবার চরা কন্ঠ অন্তরার ।না অন্তরা আমি তোমাকে আমার আজকের দিনের ভাললাগার কথা বললাম ।তার মানে আমাকে একাকে নিয়ে আজ ঘুরতে তোমার ভাল লাগবেনা এই তো ! অন্তরা তুমি আমাকে ভুল বুঝছ । আমরা সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই তো বিভিন্ন সময় ঘুরে বেরাই বল ।শুধু আজকের দিনটি একটু অন্যরকম ভাবে চাচ্ছি আমি । হ্যা আমিও তাই-ই চাচ্ছি বাট তুমি চাচ্ছ মাটি করে দিতে । তুমি ভুলে যাচ্ছ যে আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস ।না অন্তরা না ভুলিনি ,ভুলতে পারবওনা কোনদিন তাইতো এরকমটা ।অন্তরা তুমি কি আমাকে ভালবাস ?সন্দেহ আছে ? না । তবে কেন তুমি মেনে নিতে পারছনা ।365 দিনের একটি দিন একটি  নিরুপিত অনাথ শিশুকে কি দেয়া যায়না অন্তরা ।তুমি আমি সবার মত সেজেগুজে হৈ হুল্লোর করে সারাদিন ঘুরে বেরালাম কি হোল অন্তরা । এতো আমাদের নিত্য দিনের ব্যাপার ।এতেই ভালবাসা প্রমান হল ।এটাই ভালবাসা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ।এটাকেই বলে ভালবাসা দিবস ! আবার বিশ্ব ভালবাসা দিবস ।অন্তরা ভালবাসা মানে ভালবাসা…..বাবার জন্য মায়ের মায়ের জন্য বাবার; স্বামির জন্য স্ত্রীর ,স্ত্রীর জন্য স্বামির ; সন্তানের জন্য পিতামাতার, পিতামাতার জন্য সন্তানের ; ভাইয়ের জন্য বোনের , বোনের জন্য ভাইয়ের ;প্রেমিকের জন্য প্রেমিকার,প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের ;বারেক-অর্নবদের জন্য কারও না কারও….।একটু ভালবাসা অন্তরা শুধু একটু ভালবাসা অর্নব অঝোরে কাঁদছে, শারির আঁচলে মুখ ঢেকেছে অন্তরা অশ্রুর ক্রমধারা মায়াবি আখিতে ।কি শুনছে সে  বার বার একটি লাইন  ;বারেক-অর্নবদের জন্য কারও না কারও….।দু’জনই পিছন ফেরে, বারেক নেই…………।(চলমান…..)
Read More News

সুপ্রিয় পাঠক বারেক হয়ত চলে গেছে তার যেখানে যাবার সেখানে কিন্তু আমরা কোখায়…….. ?

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *